অনলাইন নিউজ; ফ্যাসিস্ট হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে চোরের মত লেজ গুটিয়ে ভারতে পালিয়ে গেলে তার পিছু পিছু নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য-মন্ত্রী এমনকি প্রভাবশালী নেতারাও পালিয়ে আশ্রয় নেয় সেই দাদাবাবুদের দেশেই। কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও তাদের সাদরে গ্রহণ করে নেয়। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের জামাই আদরে রাখলেও দেশটির সাধারণ নাগরিকরা অনেকটাই আতঙ্কিত, ভীত-সন্ত্রস্ত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গণহত্যাকারী এসব নেতাদের ভারতে অবস্থান নিয়ে।
বিগত এক বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ তার নিষিদ্ধ দলের নেতা-কর্মীরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে নিজেদের ভূখণ্ড মনে করে। আর এই সময়ই বাংলাদেশে হাসিনার নামে শুধুমাত্র হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা হয়েছে প্রায় আড়াই‘শোটি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জারি করা হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। এসময় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রভাবশালী গণমাধ্যমগুলোও প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার গণহত্যার কিংবা সরাসরি হত্যার আদেশ দেওয়ার। শুধু এতটুকুই নয়, গণহত্যার অভিযোগে বিচার না হওয়া পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দল আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম।
নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সেই গণহত্যার মাস্টারমাইন্ড ফ্যাসিস্ট হাসিনা, কাউয়া কাদের খ্যাত ওবায়দুল কাদেররা যখন অবস্থান করছে নিজেদের ভুখণ্ডে নিজের বাড়ির পাশে তখন তো আতঙ্কিত হওয়াটাই স্বাভাবিক ভারতীয়দের জন্য। যে হাসিনা নিজের দেশজুড়ে নির্লজ্জ-বেহায়া, লেডি হিটলারের মতো গণহত্যা চালিয়েছেন তিনি যে ভারতে কোন এলোমেলো কিছু করবেন না তার গ্যারান্টিই বা কি? হাসিনাতো নিজের স্বার্থে সব কিছুই করতে পারে, কথাগুলো বলছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় সাধারণ নাগরিক।
এদিকে আওয়ামী লীগের গোপন কিছু সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, নিষিদ্ধ দলটির সাবেক অন্তত ৭০ জন সংসদ সদস্য, বিভিন্ন জেলার সভাপতি-সম্পাদক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র সহ শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় দুশো জন ভারতের কলকাতা ও এর সংলগ্ন অঞ্চলে থাকছেন। এদের কেউ সপরিবারে থাকেন, আবার কোথাও একসঙ্গে কয়েকজন মিলেও একটা ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছেন। কারও পরিবার মাঝে মাঝে বাংলাদেশ থেকে এসেও কিছুদিন কাটিয়ে যান সেখানে। এছাড়াও ভারতের আরও বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থান নিয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি সাবেক সংসদ সদস্য, মন্ত্রীসহ নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারাও।
মূলত এই বিষয়টি আরও আতঙ্কিত করে তুলেছে ভারতীয়দের। নিজেদের নাকের ডগায় যখন ঘুড়ে বেড়াচ্ছে প্রায় দেড় হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যা করা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের গণহত্যাকারী সব মানুষরূপী নরপিশাচরা তখনতো উদ্বেগ জানানেই স্বাভাবিক। ভারতের অন্যতম শহর কলকাতা কিংবা রাজধানী দিল্লি কোথাও যেনো এখন আর শান্তি নেই। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আতঙ্কে এখন আতঙ্কিত ভারতীয়রা।
এক সময় হাসিনার পা চাটা দালাল ভারতীয় গোদি মিডিয়া গুলোতেই আজ উঠে আসছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে দৃঢ় কন্ঠোস্বর। যেখানে স্বয়ং ভারতীয় সাধারণরা বলছেন, ‘হটাও হাসিনা বাঁচাও দেশ, এটা কি হাসিনা মোদিজি’র বাপের দেশ?’ তাদের মতে, মোদি প্রধানমন্ত্রী হলেও একজন গণহত্যাকরী ফ্যাসিস্ট খুনিকে আশ্রয় দেওয়ার কোন অধিকার তার নেই। হাসিনাকে বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়ে ভারতের করা এক বছর আগের সেই পাপ মোচনেরও পরমর্শ ভারতীয় জনসাধারণের।