ছায়েদ আহামেদ : নোয়াখালীর হাতিয়ায় গভীর রাতে বসত ঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এতে মুমূর্ষু অবস্থায় নিমাই চন্দ্র মজুমদার ও তার স্ত্রী মিলনবালাকে ঢাকায় বার্ণ ইউনিটে ভর্তির জন্য নেওয়া হলে পথিমধ্যে তাদের দুজনেরই মৃত্যু ঘটে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) বিকেলে ঢাকায় নেয়ার পথে বিকেল পাঁচটায় অগ্নিদ্বগ্ধ নিমাই চন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু হয়। ঢাকায় হাসপাতালে পৌছার পর রাত নয়টার দিকে স্ত্রী মিলন বালার মৃত্যু হয়। এরআগে তাদের ৪টি গরু আগুনে পুড়ে মারা যায়।
শুক্রবার রাত তিন টায় উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জোড়খালি গ্রামের মুনদার বাড়ীতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত নিমাই চন্দ্র মজুমদার একই এলাকার চিন্তাহরণ মজুমদারের ছেলে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে যথারীতি নিমাই ও তার স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিল। হঠাৎ তাদের রান্না ঘরে আগুন লেগে দাউ দাউ করতে দেখে আশপাশের লোকজন দেখে এগিয়ে এসে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। তার আগে ঘরের আসবাবপত্র সহ সবকিছু আগুনে পুড়ে যায়। ঘুমের ঘোরে আচ্ছন্ন থাকায় নিমাই ও তার স্ত্রীর শরীরের বেশীর ভাগ অংশ পুড়ে যায়। ভোরে প্রতিবেশীরা উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে ঢাকায় রেফার করেন। ঢাকায় নেয়ার পথে কুমিল্লায় এ্যম্বুলেন্সে বিকেল ৫টার দিকে নিমাইয়ের মৃত্যু হয় এবং রাত ৯টার দিকে স্ত্রীর মৃত্যু হয়। একদিকে তড়িৎ গতিতে আগুনে ঘরের পাশে লাগোয়া গোয়াল ঘরেও আগুন লেগে যায়। ফলে গোয়াল ঘরে বাঁধা ৬ টি গরুর মধ্যে ৪টি গরু আগুনে পুড়ে মারা যায়। অন্য ২টি গরুকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খোরশেদ আলম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।